September 21, 2024, 9:22 pm
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার ডি-ব্লকের চাঁদ উদ্যান এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন চাঁদপুরের কচুয়ার বড়দৈল গ্রামের মৃতঃ জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র ইকবাল হোসেন। প্রাইভেটকার চালানোর সুবাদে ২ বছর যাবত তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইকবাল হোসেন তার স্ত্রী সালমা আক্তারের সাথে যৌতুকের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ইকবাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধারালো বটি দা দিয়ে গালে-মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক ফুলা জখম করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে পাশবর্তী লোকজন ছুটে এসে জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত সালমা বেগমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে এবং স্থানীয়রা পাষন্ড স্বামী ইকবাল হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় সালমা আক্তারের পিতা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ঢাকা ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানায় ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সালমা আক্তারের বাবা আব্দুর রশিদ জানান, আমার মেয়েকে প্রায় ৮ বছর পূর্বে একই উপজেলার বড়দৈল গ্রামের সরকারি বাড়ির ইকবাল হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নুসরাত (৭) ও নুসাইবা (৪) নামের দুটি সন্তান রয়েছে। আমার মেয়ে সালমা আক্তারকে বিভিন্ন অজুহাতে ইকবাল প্রায় যৌতুকের জন্য বেধম মারধর করত।
ঘটনার দিন পূনরায় যৌতুকের টাকা চেয়ে না পেয়ে ইকবাল তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো দা দিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে আমার মেয়ে কথা বলতে পারছে না এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমার মেয়েকে হত্যার চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।